বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এর মিছিল আটকালো পুলিশ : উত্তেজনা

16th September 2020 11:54 am হুগলী
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এর মিছিল আটকালো পুলিশ : উত্তেজনা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : অগ্নিমিত্রা পালের মিছিল আটকালো পুলিশ।করোনা সংক্রমন ঠেকাতে শেওড়াফুলি পাইকারী বাজার সরিয়ে বৈদ্যবাটি আর এম সি তে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচ মাস আগে।যার ফলে শেওড়াফুলি স্টেশন লাগোয়া বাজারে লোক সমাগম কমে যায়।প্রাচীন এই বাজারের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পরে।বিজেপি সহ বিরোধীরা এই বাজার সরানোর পিছনে শাাসকের উদ্যেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আন্দোলন শুরু করে।আজ শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়িতে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ডেপুটেশান দেওয়ার কর্মসূচী ছিলো।রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মি সমর্থকরা মিছিল করে জিটি রোড ধরে ফাঁড়ির দিকে এগোতেই পুলিশ মিছিল আটকায় । মিছিলের কোনো অনুমতি না থাকায় ফাঁড়িতে পৌঁছানোর আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,তাঁবেদার পুলিশ অন্য দলকে মিছিল জমায়েতের অনুমতি দিচ্ছে আর ত্রিশ জন নিয়ে ডেপুটেশান দিতে যেতে দিলো না।সব জায়গায় এটা করছে পুলিশ।ইমাম ভাতা চালু আছে সরকারের নয় বছর মনে হয়নি ভোটের ছয় মাস আগে মনে হল পুরোহিতদের ভাতা দিতে হবে।পুরোহিতরা ভিক্ষা নেন না প্রনামী নেন।পিকের বুদ্ধিতে এসব করছেন মাননীয়া এতে কোনো লাভ হবে না।কারন নয় বছরে কোনো কিছু হয়নি রাজ্যে আগামী দিনেও হবে না।
 অগ্নিমিত্রা আরো বলেন,এরাজ্যে কোনো মহিলাই সুরক্ষিত নয়।সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকেও ট্যাক্সি চালক কটুক্তি করে।মিমিকে ধন্যবাদ যে প্রতিবাদ করেছে।সে আমাদের হয়ে কাজ করেছে।কারন আমাদের কথা তো কেউ শুনবে না।তাই আমরা মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।যার নাম 'উমা'।প্রত্যেকটি সাংগঠনিক জেলায় পঞ্চাশটি করে মহিলা নিয়ে তৈরী হবে উমা।মহিলারা নিজেদের সুরক্ষা নিজেরাই করবেন।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে বলেন,পরিবেষ দূষন যাতে না হয় সেটা সরকারকে দেখতে হবে।তবে দুর্গাপুজো যেমন গুরুত্বপূর্ন তেমনি ছটপুজোও আমাদের কাছে গুরুত্বের।এই সরকার আবার উৎসবের দিন লকডাউন করে দেয়।।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।